• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের খুলনা

অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কুফল

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৪  

কোভিড মহামারির পর থেকেই সারাবিশ্বে শিশু-কিশোরদের ডিজিটাল আসক্তি বাড়ছে। অনলাইন শিক্ষা হোক আর গেমিং হোক শিশুরা নানাভাবে দিনের অনেকটা সময় ডিজিটাল স্ক্রিনমুখি হয়ে উঠছে। এতে শিশুদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার বাড়ছে। 

যার ফলে ডিজিটাল আসক্তির মাত্রা সারাবিশ্বে বেড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বিশ্বব্যাপী ১.৫ বিলিয়ন শিশু কোনো না কোনোভাবে ডিজিটাল ডিভাইসমুখি। এসব শিশুরা বার্তা পাঠাতে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় দিতে, কিংবা  ভিডিও গেম খেলার জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান কমন সেন্স মিডিয়ার তথ্য বলছে, ২০১৯ ও ২০২১ সালের হিসেবে ৮ থেকে ১৮ বছরের শিশুদের প্রতিদিন স্ক্রিন টাইম ব্যবহার প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। 

অন্য আরেকটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কায়সার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশনের ২০১০ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে তখনই স্ক্রিনে কিছু বিনোদন দেখার জন্য প্রতিদিন প্রায় নয় ঘণ্টা ব্যয় করত। আগে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা টেলিভিশনে সময় দিত শিশু-কিশোররা। এখন সেই জায়গায় ফোনের প্রতি আসক্তি দেখা যাচ্ছে। এখন গবেষকরা অনুমান করেন বছরে স্ক্রিন দেখার জন্য শিশু-কিশোররা বছরে মোট ১১৪ দিন ব্যয় করছে। 

এ প্রসঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষক সারা ইফফাত বলেন, ‘নানা কারণে শিশুদের ডিজিটাল আসক্তি বাড়ছে। ডিজিটাল ডিভাইস এখন নয়া বাস্তবতা হলেও আমাদের সচেতন থাকা প্রয়োজন। সবকিছুই কিন্তু অনলাইনে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। মাত্রাতিরিক্ত ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহারের কারণে শিশুদের মানসিক সংকট তৈরি হচ্ছে। আমাদের বাবা-মায়েরা অসচেতনতায় শিশুর হাতে ডিভাইস তুলে দিচ্ছেন। এতে শিশু মানসিক সংকটে পড়ছে আবার সাইবার ইস্যুতেও হুমকির মুখে পড়ছে।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল আসক্তি নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ গবেষণার ফলাফল অনুসরণ করে নতুন ডিজিটাল নীতি তৈরি করছে। বাংলাদেশে সামগ্রিক অর্থে ডিজিটাল আসক্তি নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা হচ্ছে না। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডার্স বিভাগের এমফিল গবেষক জাহিদ হোসাইন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইসের মাত্রা আরো বাড়বে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের প্রেক্ষিতেই আমরা সাধারণভাবে এই কথা বলতে পারি। অন্যদিকে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের কারণে শিশু-কিশোরদের ওপর প্রভাব তৈরি হচ্ছে। তাত্ত্বিকভাবে বলা যায় বাংলাদেশের শিশুরাও অনেক বেশি ডিজিটাল ডিভাইসে আসক্ত। তবে কেমন মাত্রায় আসক্ত তার বৈজ্ঞানিক বা তথ্যভিত্তিক তথ্যের অভাব রয়েছে। সরকারি সংস্থা প্রতিবছর আর্থিক নানান জরিপ প্রকাশ করে। আবার বিটিআরসি কত ইন্টারনেট বা সিম ব্যবহার করছে তার তথ্য দিচ্ছে। সেখানে ডিজিটাল ডিভাইসে শিশুরা কেমনভাবে আসক্ত তা জানা প্রয়োজন। তথ্যের অভাবে আসলে নতুন পদক্ষেপ বা নীতিগ্রহণে সংকট দেখা যায়।

আজকের খুলনা