• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের খুলনা

ডুমুরিয়ায় নদী দখল করে গড়ে উঠেছে মুরগী খামার, পরিবেশ হুমকির মুখে!

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৪  

ডুমুরিয়ায় তেঁতুলতলা ও শালতা নদীর পানির গতিপথ বন্ধ করে সরকারি জায়গা দখল করে আছে কতিপয়  প্রভাবশালী ব্যাক্তি।

গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক   মুরগি খামার। এর ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে বিস্তৃতর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অপর দিকে পরিবেশ রয়েছে চরম হুমকির মুখে।

উপজেলার মাগুরখালিতে কতিপয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তেতুলতলা শালতা  নদীর সরকারি খাস জমি দখল করে লোকালয়ে গড়ে তুলেছেন মুরগীর খামার। তাদের নেই কোন লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র। মারাত্বক হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ।
এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষুদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নিষ্কাসনের গতিপথ উন্মুক্ত রাখতে এলাকাবাসী  প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উপজেলার মাগুরখালি ইউনিয়নের হেঁতাইলবুনিয়া ও মাগুরখালি মৌজাধীন  তেঁতুলতলা ও শালতা নদীর পানি নিষ্কাসনের গতিপথ বন্ধ করে এসকল খামার গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার হেতাইলবুনিয়া  এলাকার হেমন্ত মিস্ত্রি,বিমল মিস্ত্রি,খগেন্দ্রনাথ মিস্ত্রি,উদয় মিস্ত্রি,মিহির মিস্ত্রি,কোড়াকাটা এলাকার গুরুদাস,স্বপন সরদারসহ একাধিক ব্যাক্তি তেঁতুলতলা ও শালতা নদীর  ১নং সরকারি খাস খতিয়ানের জায়গা দখল করে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক মুরগির খামার। সরকারি জায়গায় খামার তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছেন তারা। ফলে একদিকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অপরদিকে লোকালয়ে খামার থাকায় মুরগীর পরিতাক্ত বৈজ্যের দূর্গন্ধে পরিবেশের মারত্বক হুমকির মুখে পড়েছে। মাছের অভয়অরণ্য নদীতে নির্গত মুরগির বিস্টাও  মাছে খেয়ে থাকে। যাহা বাজার থেকে খরিদ করছেন সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রী সার্বজনীন মন্দিরে আসা ভক্তবৃন্দসহ সর্বসাধারণের খামারের পাশে রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে দূর্গন্ধে নাকমুখ  চেপেধরে যাতায়াত করতে হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

এদিকে খামার পরিচালনার জন্য তাদের নেই লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী সরকারি জায়গা দখল মুক্ত এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রশাসনের উধর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।ঘটনা প্রসংগে হেমন্ত মিস্ত্রি বলেন,আমার নামে নদীর সরকারি দেড় একর বন্দোবস্ত কৃত জমিতে খামার তৈরি করেছি। পানি নিষ্কাসন তেমন কোন বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে না। তবে সরকার চাইলে জনস্বার্থে ছেড়ে দিবেন বলে জানান তিনি।

মাগুরখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা জানান,জনস্বার্থে জলাবদ্ধতা নিরাসন এবং পরিবেশের ভারসম্য রক্ষার্থে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ পূর্বক অপসারণ করে নদী উন্মুক্ত রাখা  জরুরি।তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আল-আমিম "সময়ের খবর'কে বলেন,নদী খাল দেশের জাতীয় সম্পাদ।

ফলে নদী রক্ষা এবং অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা অতি জরুরি। সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে  সরকারি জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আজকের খুলনা