• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের খুলনা

কয়রায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যার ১৮ বছর পর রায়,

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৪  

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নাজমা খাতুনকে হত্যা মামলায় স্বামী মোঃ কায়েদে আযমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদÐের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস সালাম খান এ আদেশ দেন। একই সাথে মামলার অপর ৬ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।  আসামি কায়দে আযম কয়রা থানাধিন ১নং কয়রা গ্রামের আবু তালেব গাজীর ছেলে। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। 
মামলার অপর ৬ আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন কায়দে আযমের পিতা আবু তালেব গাজী, ভাই ইসরাফিল, ভাবী মাফিয়া খাতুন, মৃত. হাসেম গাজীর ছেলে মো. মনি, মৃত. কওছার গাজীর ছেলে রজব আলী ও মৃত. বছির মোল্লার ছেলে জহুরুল।       


আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান নথীর বরাত দিয়ে জানান, ১৯৯৭ সালের ১ জুন  কয়রা থানাধিন ১নং কয়রা গ্রামের ফজর ঢালীর মেয়ে নাজমা খাতুনের বিয়ে হয় একই গ্রামের আবু তালেব গাজীর ছেলে মো. কায়দে আযমে সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নাজমাকে মারধোর করে আসছিল কায়দে আযম। এ নিয়ে আনেক বার গ্রামে শালিসীও হয়েছে। কিন্তু ২০০৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে ৩০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে আবারও মারপিট শুর¤œ করে কায়দে আযম। এসময় তাদের ছোট ছেলে গোলাম মো¯ত্মফা দৌড়ে নানাকে খবর দিতে যায়। বাড়ি ফিরে আসে দেখে মায়ের লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলছে। মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ছুটে আসে বাবা ফজর ঢালী, মা রাজিয়া খাতুনসহ আত্মীয়-স্বজন। এঘটনায় পুলিশ অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। থানায় গেলে কোন মামলা নেয়নি। পুলিশ সুপারের দপ্তরে আবেদন করেও কোন বিচার না পেয়ে অবশেষে স্বামীর অত্যাচারে মৃত. নাজমার মা রাজিয়া খাতুন বাদী হয়ে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৮ অক্টোবর নিহত নাজমার স্বামী কায়দে আযমসহ ৮জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেছে।   রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি এড. ফরিদ আহমেদ।

আজকের খুলনা