• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের খুলনা

নালায় পরিণত হয়েছে শৈলমারী নদী, বিপাকে কৃষকরা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২৪  

খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার শৈলমারী নদী খনন, আমতলা ও খড়িয়াসহ সব খাল ইজারা বন্ধ এবং নেট-পাটা ও বাঁধ অপসারণ করে কৃষির জন্য উন্মুক্ত জলমহল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লোকজ ও মৈত্রী কৃষক ফেডারেশন। 
বুধবার (২৭ জুন) সকালে কাতিয়ানাংলা এলাকার লোকজ সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিভাষ মণ্ডল এ দাবি জানান।   

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বটিয়াঘাটার অন্যতম প্রধান নদী শৈলমারি মৃতপ্রায়। শৈলমারী নদী এখন নালায় পরিণত হয়েছে। মানুষ হেঁটে পার হয় এ নদী। গত ৮-১০ বছর ধরে ধীরে ধীরে এই নদী শুকিয়ে যাচ্ছে।  একের পর এক নদীর চর দখলের কারণে সংকুচিত হয়ে পড়ছে নদীর প্রশস্ততা। ফলে বর্ষায় পানির চাপে প্লাবিত হচ্ছে দুই পারের লোকালয়। দুর্ভোগ বাড়ছে দুই কূলের লাখ লাখ মানুষের। এ অবস্থায় শৈলমারী নদী খনন করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে এবং জেগে উঠা চর দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে।

তিনি বলেন, অন্যদিকে বটিয়াঘাটা উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে আমতলা, খড়িয়া, বটবুনিয়া, বরাখালী, ছোটখড়িয়া, মরাখড়িয়া, গোন্ধামারী ও গোগের খাল। এসব খাল পরস্পর সংযুক্ত, কিন্তু ভিন্ন নামে পরিচিত জলমহল। যা ওয়াপদার বেড়িবাঁধের ভেতরে অবস্থিত এবং স্লুইস গেইট সংযুক্ত। এই নদী-খালগুলোর মাধ্যমে এলাকার ২৯টি গ্রামের প্রায় ৩৯ হাজার একর ফসলি জমির আবাদ হয় এবং এই জমির পানি নিষ্কাশিতও হয়। 

তিনি আরও বলেন, এই এলাকার ৪০ হাজার অধিবাসীর মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবী। এই নদী ও খালের পানি ব্যবহার করে আমন, আউশ ও বোরো ধান, তরমুজ, কুমড়া, তিল, মুগডালসহ সব ফসল চাষ হয়। গত বছর বৈশাখ মাস থেকে এই নদী-খালগুলো উন্মুক্ত জলাশয় দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে লিজ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় কৃষকরা ইজারার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসন ও সচিবালয় পর্যন্ত আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন নেট-পাটা উঠিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নিলেও লিজ বন্ধের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- লোকজ-এর নির্বাহী পরিচালক দেব প্রসাদ সরকার, মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বরীন্দ্রনাথ মণ্ডল, সহ-সভাপতি দীপ্তি মল্লিক, মো. মনসুর আলী শেখ, মো. ফজলুর রহমান লাভলু, তিমির বরণ সরকার, বন্দনা রায়, অরুণ বিশ্বাস, আরনী সরকার, বাসুদেব মণ্ডল, খুকু রাণী অধিকারী, প্রসেন বিশ্বাস, আশিষ মণ্ডল, মোস্তাফিজুর রহমান, লোকজ-এর সমন্বয়কারী পলাশ দাশ প্রমুখ।

আজকের খুলনা