১১ মুক্তিযোদ্ধা, ২ শহীদের পরিবার
আজকের খুলনা
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২১
মানিকগঞ্জ শহরের কোল ঘেঁষেই সবুজ-শ্যামল ও নিরিবিলি একটি গ্রাম সদর থানার সেওতা। সাদা চোখে অন্য সব গ্রামের মতো মনে হলেও সেওতার আছে আলাদা বিশেষত্ব। জনপদটিকে এই বিশেষত্ব দিয়েছে একটি পরিবার। সেওতা গ্রামের ওই পরিবারের ১১ জন সদস্য দেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন। তাঁদের মধ্যে শহীদ হয়েছেন দুজন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কারণে পরিবারটির ব্যবসা ও সম্পত্তির বড় অংশ ধ্বংস করে ফেলেছিল পাকিস্তানি হানাদার সেনারা। আজও সারা গ্রামের মানুষ তাঁদের জন্য গর্ববোধ করে।
বিজয়ের মাসে এই পরিবারের বীরত্বগাথা জানতে গত ২৪ ডিসেম্বর এই প্রতিবেদক ছুটে যান সেওতায়। দেখা যায়, গ্রামটি ঘিরে রাখা দুটি সড়ক পরিবারটির দুই শহীদের নামে। একটি ৭ নম্বর শহীদ তজু সড়ক, আরেকটি শহীদ টিটো সড়ক। তবে যাঁদের নামে সড়ক দুটি, সেই দুই বীর যোদ্ধার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তার অবস্থাই খারাপ। গ্রামের অনেকে বললেন, এই সড়কের মতোই অবহেলিত থেকে গেছে শহীদদের পরিবারের সদস্যরাও। পরিবারটির চার মুক্তিযোদ্ধা সদস্যের নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হলেও বাকিরা থেকে গেছেন আড়ালেই।
গ্রামের বর্ষীয়ান মানুষ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ১৯৭১ সালে তৎকালীন মানিকগঞ্জ মহকুমার ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে ছিলেন দুই ভাই গোলাম মোস্তফা ওরফে মধু মিঞা ও গোলাম মর্তুজা ওরফে কানাই মিয়া। প্রথমে যুদ্ধে যান তাঁদের ছোট ভাই গোলাম আহমেদ ওরফে ফেলা মিঞা (৩২) ও গোলাম মর্তুজার ছেলে গোলাম কিবরীয়া ওরফে তজু। যুদ্ধে যাওয়ার কিছুদিন পরই পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা পড়েন তজু। নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ঘটনা তজুর চাচাতো ভাই ও গোলাম মোস্তফার কিশোর ছেলে গোলাম মোহাম্মদ দস্তগীর টিটোর মনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ‘যে দেশের জন্য আমার ভাই মরেছে, সে দেশের স্বাধীনতা দেখতে চাই আমি,’ এমন পণ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে কিশোর টিটো। কিন্তু বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে সাভারের জিরাবোতে এক যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হয় সে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নাট্য ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চুর স্পষ্ট মনে আছে শহীদ টিটোর কথা। এ প্রতিবেদককে তিনি বললেন, ‘বয়স কম থাকায় টিটোকে সরাসরি যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাকে আমাদের ক্যাম্পে থাকা চার শর বেশি মুক্তিযোদ্ধার খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।’
নাসির উদ্দীন ইউসুফ জানালেন, ১৪ ডিসেম্বর সাভারে পাকিস্তানি সেনাদের একটি দলের সঙ্গে যুদ্ধ হয় তাঁদের। ছোট বলে সঙ্গে নেওয়া হয়নি টিটোকে। কিন্তু সে লুকিয়ে পিছু নেয়। যুদ্ধের এক পর্যায়ে এক মুক্তিযোদ্ধার কাছে জরুরি নির্দেশনা পৌঁছে দিতে দৌড়ে যাওয়ার সময় মেশিনগানের গুলিতে মৃত্যু হয় তার।
শহীদ তজু ও টিটোর পরিবারকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম খান কামাল। দেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সাটুরিয়া-মানিকগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য তিনি। স্মৃতিচারণা করে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার জন্য এই পরিবারের অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তাদের পারিবারিক ব্যবসা ধ্বংস করে দিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকাররা। এ পরিবারের কিশোর-বৃদ্ধ-নারীরা যে যেভাবে পেরেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করেছেন।’
শহীদ টিটো ছাড়াও তার আপন ভাই গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর, গোলাম মোহাম্মদ শাহ্গীর, গোলাম মোহাম্মদ বন্দেগীর লিটো, গোলাম মোহাম্মদ ছগীর কিটো ও গোলাম মোহাম্মদ রাহ্গীর বিল্টো মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া তজুর আপন ভাই ও টিটোর চাচাতো ভাই গোলাম মোস্তাকিম ওরফে হিটোও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে ভূমিকা ছিল গোলাম মোস্তাকিমের, যিনি পরবর্তী সময়ে কর্মজীবনে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েছিলেন। তজুর আরেক ভাই গোলাম শামিম লাভলু ও বোন শামসুন্নাহার ছায়াও মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সাহায্য করেন।
মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই পরিবারের অবদানের যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন। বঙ্গবন্ধু শহীদ তজুর মাকে ধানমণ্ডিতে জায়গাসহ বাড়ি দিয়েছিলেন। এছাড়া শহীদ তজুর নামে সড়ক হয়েছে, তাঁদের এক ভাই সরকারি চাকরি পেয়েছেন। তবে বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর পরিবারটির অবদান অনেকটাই চাপা পড়ে যায়।
এই পরিবারের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বেঁচে আছেন শুধু গোলাম মোহাম্মদ রাহ্গীর ও গোলাম শামিম লাভলু।
শহীদ তজুর ছোট ভাই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা গোলাম শামিম লাভলু বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ১২-১৩ বছর ছিল। তজু ভাইয়ের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের বাড়িতে আসত। আমি তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতাম। কিছু করতে বললে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। আমিও যুদ্ধে যাওয়ার বায়না ধরতাম। কিন্তু ছোট বলে তারা আমাকে সঙ্গে নিত না।’
এলাকার মানুষ বলছে, শহীদ তজু ও টিটোর স্মৃতি জাগিয়ে রাখা দুটি সড়ক ঘিরে রেখেছে সেওতা গ্রামটিকে। জরাজীর্ণ সড়ক দুটির দ্রুত সংস্কার চায় তারা। আর চায় তালিকায় না থাকা অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি।
- ঋণদাতা সংস্থা থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার চায় ঢাকা
- পাচার ৯০ হাজার কোটির খোঁজে দুদক
- শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে একগুচ্ছ পরিকল্পনা
- সৎ ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে দ্রুত উদ্যোগ : ড. বদিউল আলম মজুমদার
- চলছে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর শেষ পর্যায়ের কাজ
- বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ১০ সুপারিশ
- এখনই নির্বাচনে ‘না’ ছাত্র-জনতার
- পিটিআইকে ড. ইউনূস
তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যার সমাধান হতে হবে - মাহমুদুর রহমানের মামলা ও সাজা বাতিলের দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ
- রেলের পাঁচ প্রকল্পে ব্যয় কমছে সাড়ে ৮ হাজার কোটি
- গাজীপুরে চালু পোশাক কারখানা
- গণভবন পরিদর্শনে ৩ উপদেষ্টা
জাদুঘর বানাতে কালকের মধ্যে কমিটি - আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
- বর্ষার সময় পানি ছেড়ে ভারত বন্যা উপহার দেয় : গোলাম পরওয়ার
- রামপালে পর্ণগ্রাফি আইনের মামলা করায় বাদীকে হুমকি
- দাকোপে খোনাগ্রামে পাউবোর বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন, আতংকে এলাকাবাসী
- সাগরে লঘুচাপ, সোমবার থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টি
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে খুলনায় দোয়া মাহফিল
- পাইকগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কাঠমিস্ত্রীর মৃত্যু
- তেরখাদায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য নিহত
- শহিদ মীর মুগ্ধ’র আত্মার মাগফিরাত কামনায় খুবিতে দোয়া
- খুলনায় ডেঙ্গুতে বৃদ্ধের মৃত্যু
- কুমিল্লায় মাইক্রোবাসের পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুসহ নিহত ৪
- সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান গ্রেপ্তার
- পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শেখ হাসিনা
- ‘ভূমিহীন’ থেকে ১৫ বছরেই কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক শাহরিয়ার আলম
- সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ছেলে তমাল অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার
- ডুম্বুর বাঁধের অভিমুখে লং মার্চ শুরু
- ‘বড় ছেলে’ -কে স্মরণ করে মেহজাবীনের আবেগময় পোস্ট
- শুল্ক কমলেও সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু-পেঁয়াজ
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়ে থাকছে না আওয়ামী লীগ ও জোটসঙ্গীরা
- খুলনার দেয়াল চিত্রাঙ্কনে আঁকা হয়েছে ছাত্র আন্দোলনের ছবি
- খুলনা মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত
- খুলনায় শেখ পরিবারের ৪ ভাই-মেয়র-এমপিসহ ২১৫ জন আসামি
- যারা লুটতরাজ,করতে আসবে তাদেরকে কোনো ছাড় দিবেন না,ডা শফিকুর রহমান
- রূপসায় দু’টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখলমুক্ত করলো আন্দোলনের শিক্ষার্থী
- ১ হাজার টাকার লাল নোট বাতিলের খবর গুজব: বাংলাদেশ ব্যাংক
- পাইকগাছায় মিন্টু’র চাঁদাবাজি,লুটপাট,দখল ও সন্ত্রাস প্রতিবাদে মানব
- খুলনা আইনজীবী সমিতির ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক পাহারা বসাতে হবে
- কমেছে ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম, মধ্যরাত থেকে কার্যকর
- অ্যাডভোকেট সাইফুলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- খুলনায়সমাবেশ:হামলা-নির্যাতন বন্ধসহ ৮ দফাদাবি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের
- ভারতে যাওয়ার সময় সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর পিএস চঞ্চল আটক
- গণদুশমন আখ্যায়িত করে কালো তালিকা প্রকাশ
- অন্ধকারে একা থাকতে ভয় লাগা লক্ষণ যে রোগের
- খুলনায় খালেক, মন্নুজান, কামালসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- খুলনায় চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
- ফুলতলায় বিএনপি নেতা সেলিমকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা,আটক ১
- মুগ্ধ গোটা বিশ্ববিদ্যালয়কে মুগ্ধ করেছিল : শিক্ষকদের স্মৃতিচারণ