• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আজকের খুলনা

স্কটল্যান্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গাজায় অর্থ সহায়তা পাঠা

আজকের খুলনা

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৪  

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বসবাস করা নিজের শ্বশুর-শাশুড়িকে বাঁচাতে সরকারি তহবিল থেকে সেখানে অর্থ পাঠানোর অভিযোগে স্কটল্যান্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হামজা ইউসুফের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

শনিবার (১৩ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ

যুক্তরাজ্যের অন্যতম রাজ্য স্কটল্যান্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা হামজা ইউসুফের স্ত্রী নাদিয়া এল-নাকলা ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ। তার বাবা ফিলিস্তিনি এবং মা স্কটিশ। গত বছর অক্টোবরে আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য গাজায় গিয়েছিলেন তারা। 

গত ৭ অক্টোবর যেদিন ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা, সে সময়ও গাজায় অবস্থান করছিলেন হামসা ইউসুফের শ্বশুর-শাশুড়ি। হামাসের হামলার পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ভয়াবহ সেই অভিযান এখনও চলছে।

এই পরিস্থিতিতে গত ২ নভেম্বর জাতিসংঘের ফিলিস্তিনের শরণার্থীদের সহায়তা ও সহযোগিতা সম্পর্কিত সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ বা আনরোয়ার তহবিলে স্কটল্যান্ডের সরকারের পক্ষ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ইউরো সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হামজা ইউসুফ। এই ঘোষণার পরের দিনই তার শ্বশুর-শাশুড়িকে নিরাপদে রাফা সীমান্ত ক্রসিংয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে মিসর হয়ে স্কটল্যান্ডে পৌঁছান তারা।

এসএনপির সঙ্গে গ্রিন পার্টির জোট ভেঙে যাওয়ার পর চলতি বছর এপ্রিলে পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় সদস্যদের অনাস্থা ভোটের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ইউসুফ। এর আগে মার্চ মাসে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার সময়েই তার বিরুদ্ধে নিজের শশুর-শাশুড়িকে বাঁচাতে সরকারি অর্থ সহায়তা হিসেবে প্রদানের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ইউসুফ তার অস্বীকার করেছিলেন।

আনরোয়ার পক্ষ থেকেও দৃঢ়ভাবে বলা হয়েছিল যে স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীর শ্বশুর-শাশুড়ি নিরাপদে গাজা থেকে বের করতে সংস্থাটি কোনো ভূমিকা রাখেনি।

তবে হামজার মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে জানিয়েছেন, যে ২ লাখ ৫০ হাজার ইউরো ইউসুফ আনরোয়াকে দান করেছে, তা জনগণের করের অর্থ এবং মন্ত্রিসভার সদস্যরা এই অর্থ জাতিসংঘের শিশু অধিকার ও নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফে দান করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুর দিকে ইসরায়েল অভিযোগ করে— ৭ অক্টোবরের হামলার সঙ্গে আনরোয়ার বেশ কয়েকজন কর্মী ও কর্মকর্তার যোগসাজশ ছিল। এই অভিযোগের পর থেকে আনরোয়ার তহবিলে অর্থ সহায়তা প্রদান বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেনসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ।

আজকের খুলনা